Click Now

Monday, 19 December 2022

WebSite-WebDesign-WebDevelopment

 এই আর্টিক্যেল টা আসলে করা হচ্ছে সাধারন বাংলার উদ্যৌক্তাদের জন্য যাদের আই টিতে যথেস্ট দুর্বলতা রয়েছে কিন্তু তারা ব্যাবসায় সফলতার জন্য বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে অনলাইনে দ্রুত ব্যাবসার সম্প্রসার করবেন। তাদের জন্যই সহজ ভাষায় সহজবোধ্য করে এই লেখা।




ওয়েবসাইট কি?

 এটা আপনার ডিজিটাল বিলবোর্ড যেখানে আপনার ব্যাবসায় সেবা সহ আপনার পোর্টফোলিও কোম্পানির বিস্তারিত এবং আরো সকল তথ্য উপাত্ত সাজানো থাকে। এটা আপনার একটি বানিজ্যিক সম্পদ।

ওয়েব সাইট কেন লাগবে? 

ব্যাবসায় এগিয়ে যেতে হলে অনলাইনের মাধ্যমে আরো কাস্টোমার দের রীচ করতে চাইলে আপনার ওয়েবসাইট লাগবেই। আপনার ব্রান্ডিং থেকে শুরু করে টার্গেটেড কাস্টোমার রীচ করতে চাইলে আরো কাস্টোমার ডাটা সংগ্রহ এবং বিক্রয় করতে গেলে ওয়েবসাইট আপনার লাগবেই। (ফেসবুকে বুস্ট করতে চান- আপনার  নিজস্ব  ওয়েবসাইট ব্যাতীত ফেসবুকে বুস্ট করতে গেলে পুরোটাকাটাই বাতাসে উড়ে যাবে। ফেসবুক টাও কিন্তু একটি সামাজিক যোগাযোগ এর ওয়েবসাইট। এ নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে) ওয়েবসাইট আপনার কাস্টোমার কে দ্রুত ক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়তা করে, আপনার পন্য বা সেবা ক্রয় করতে।

ওয়েবসাইট কেন এবং কিভাবে হবে? ডোমেইন হোস্টিং কি? কি করতে হবে?

ধরুন, আপনি একটা বাড়ি বানাবেন। এক নির্দিস্ট আয়তনের জমি আপনার নামে প্রথমে বায়না করতে হবে, রেজিস্ট্রেশান করে মিউটেশান করতে হবে সেটা অনলাইনে। এটাই হচ্ছে হোস্টিং অর্থাৎ কতটুকু জায়গার উপরে আপনি আপনার বাড়ি বানাবেন, আর ডোমেইন হচ্ছে কি নামে বা কার নামে জমি টা রেজিস্ট্রেশান করা হবে।

যত খানি জায়গার উপরে আপনি বাড়ি বানাবেন, হতে পারে ৩ কাঠা অথবা ত্রিশ কাঠা সেটাকে আমরা বলতে পারি হোস্টিং স্পেইস আর যে নামে রেজিস্ট্রেশান করবেন সেটা কে ডোমেইন নেইম বলতে পারি।   আবার এভাবেও বলতে পারি আপনার এনরয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্পেইস এর জন্য মেমরী কার্ড কিনতে হচ্ছে কেন? কারন যেন বেশি ফাইল স্টোরেজ পান। একই রকম হোস্টিং স্পেস হচ্ছে সেটাই যেটাতে আপনার ওয়েবসাইটের সকল অবকাঠামো ফাইল ফুটেজ থাকবে। 

আপনি যত বছরের জন্য অনলাইনে ব্যাবসা করতে চান তত বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশান করবেন ডোমেইন এবং কিনবেন আপনার হোস্টিং স্পেস যেটার উপরে ওয়েবসাইট টি তৈরি হবে।

আপনি তিন থেকে ১০ বছর মেয়াদ বা তদুর্ধ নির্দিস্ট বছরের ওয়েবসাইট এর ডোমেইন কিনে নিয়ে হোস্টিং নিতে পারেন। অথবা দুই থেকে তিন বছরের মেয়াদের প্যাকেজ কিনে, পরবর্তীতে তিন বছর শেষে পুনরায় রেজিস্ট্রেশান ফি দিয়ে ডোমেইন হোস্টিং সহ ওয়েবসাইট চালু রাখতে পারেন।

মনে রাখবেন এটি আপনার ব্যাবসায়িক একটি সম্পদ, ঠিক আপনার বাড়ি গাড়ি ও গহনার মত সুতরাং আপনি নিয়মিত যেভাবে রাজস্ব এবং নবায়ন ফি দিয়ে আপনার সম্পদ আপনার করে রাখেন ঠিক একইভাবে আপনার ওয়েবসাইট এর ডোমেইন হোস্টিং এর নির্ধারিত ফি আপনাকে মেয়াদ শেষে দিয়ে চালু রাখতে হবে। 


ওয়েব ডিজাইন? এবং ডেভেলপমেন্ট?

আপনার (হোস্টিং) জায়গা কেনা শেষ এবং নাম করন (ডোমেইন) বা রেজিস্ট্রেশান কমপ্লিট একটি নির্দিস্ট মেয়াদে ২/৩বছর।

এখন বাড়ি বানাবেন! বাড়ি বানাতে কি দরকার? ডিজাইন। কিভাবে কয়তালা ফাউন্ডেশানে আপনি বাড়ি বানাবেন কয় রুম এর ঘর হবে। কিচেন রুম কোথায় হবে, অভ্যর্থনা রুম কোথায় হবে সকল প্লানিং ও নকশা। এটাকে আমরা ওয়েব ডিজাইন বলছি। 

এই ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমেই আপনি আপনার কোম্পানীকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন। যে কারনে দরকার একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার। 

কোথায় কি কন্টেন্ট ভিডিও ছবি এবং তথ্য উপাত্ত বসবে তা এই ডিজাইনার এর সুন্দর এবং দক্ষতায় উপস্থাপনাতেই বসবে যেখানে আপনিও তাকে সহযোগিতা করবেন। কারন আপনার ব্যাবসার খুটিনাটি বিস্তারিত সব কিছুই  আপনিই ভাল জানেন। 



ওয়েব ডেভেলাপমেন্টঃ

আপনার বাড়ির নকশা বা ডিজাইন শেষ এবার বাড়ি তৈরীর পালা। একটু লখ্য করুন বাড়ি বানাতে কি লাগে, ইট বালু সিমেন্ট এবং ইলেক্ট্রিক তার, যন্ত্রাদি এবং আরো অনেক অনেক কিছু সহ রাজ মিস্ত্রি।

এইবার আপনার বাড়ি উক্ত নকশা বা ডিজাইন অনুযায়ী তৈরী করা হবে। যা একটি জটিল এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ঠিক একই ব্যাপারটা আমরা তুলনা করতে পারি ওয়েবসাইট ডেভেলাপমেন্ট এ, যেখানে অনেক টেকনিক্যাল টুলস, প্লাগিন থিম সহ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান এবং মার্কেটিং অটোমেশান করা হবে।

দেখুন বাড়ি বানাতে নকশার পরে ফাউন্ডেশানের পিলার ও পায়েলিং করতে হয়। এরপর রুম অনুযায়ী দেয়াল গাথুনীর জন্য ইট সিমেন্ট বালু নিয়ে রাজমিস্ত্রি কাজ করতে থাকেন। ধরা যাক আপনার পাঁচ তালা বাড়ির ফাউন্ডেশান তিন তালা করবেন। তাহলে একতালা তৈরীর পরে ছাদ ঢালাই দিয়ে দোতালার কাজ করতে হবে আবার দোতালা শেষ করার পরে দোতালার ছাদ ঢালাই দেবার পরে তিন তালার কাজ ধরতে হবে। ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং, সুয়ারেজ লাইন সহ গ্যাস লাইন এবং পাইপ কোথায় বসবে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ঠিক করে দিবেন ডিজাইন সহ। ঠিক একই ভাবে ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট করতে হয়। 

যেখানে প্রত্যেক টি টেকনিক্যাল খুটিনাটি এতটাই গুরুত্বপূর্ন যেটা একজন ওয়েবডেভেলাপার করেন এবং তার সাথে টেকনিক্যাল অপারেটর হিসেবে আমরা এস ই ও এক্সপার্ট এবং এপস ডেভেপলপার কে টিম ওয়ার্কে কাজে লাগাই। একজন ওয়েবডেভেলপার এর কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ, এইচ টি এম এল, মাই এস্কিউ এল ইত্যাদি জানা আবশ্যক এবং সি এস ই বা কম্পিউটার সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড সহ প্রোগ্রাম ল্যাঙ্গুয়েজ এ এক্সপার্ট হওয়া আবশ্যক  

টেকনিক্যাল কাজ গুলো নিম্নরুপঃ 

প্লাগিন টুলস থিম কাস্টোমাইজেশান

সার্চ ইঞ্জিন টুলস অপ্টিমাইজেশান

এইচ টি এম এল এর কাজ যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান এ এবং সার্চ মার্কেটিং অপ্টিমাইজেশানে কাজে লাগে।

এছাড়াও গুগলে ওয়েবসাইট ভেরিফিকেশান এবং গুগলে ট্যাগ সহ বর্তমানে ফেসবুক পেইজ এ ওয়েবসাইট ভেরিফিকেশান সহ কোডিং এর অনেক অনেক খুটিনাটি টেকনিক্যাল কাজ রয়েছে।

সিকিউরিটি এস এস এল ব্যাতীত ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে সহজে ভিজিটর রা আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে না।




এবংআপনার ব্যাবসায়ের  প্রতিনিয়ত তথ্য উপাত্ত সংযোজন বিয়োজন বা আপডেট ওয়েবডেভেলাপমেন্ট এর একটি গুরুত্ব পূর্ন কাজ

👉https://sajzad.business.site   Contact Me Now, 


এখন আমরা জানি সস্তার তিন অবস্থা। আপনি সস্তায় ওয়েবসাইট ডিজাইন করতেই পারেন অথবা সল্প খরচে করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন যত গুড় তত মিস্টি। আপনি বাড়ি বানাতে যেভাবে যা যা দরকার সেভাবে যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার বাড়িটি যেরকম দারুন দেখতে হবে, এবং বসবাসের উপযুক্ত হবে। ঠিক বাড়ির মতই  আপনার ওয়েবসাইট আপনার একটি ব্যাবসায়িক সম্পদে রুপান্তরিত হবে। ওয়েবসাইট এডস এর মাধ্যমেও ওয়েবসাইট ভিজিটর  ও ট্রাফিক বাড়ানো সহ এবং গুগলে এডস সহ ফেসবুক এডস ক্যাম্পেইন করা হয়। আপনারা যেটাকে বুস্টিং বলে বোঝেন আমরা বলি পেইড এড ক্যাম্পেইন। নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিটর এর মাধ্যমে আপনি পে পার ক্লিক এ ওয়েবসাইট থেকেও ইনকাম করতে পারেন। 

এখন আসল কথা হচ্ছে আপনার প্রকৃত বানিজ্যিক উদ্দেশ্য কি? ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা নাকি আপনার ব্যাবসার ধরন অনুযায়ী ব্যাবসার প্রবৃদ্ধি ও মুনাফা এবং কাস্টোমার/ক্লায়েন্ট!




No comments:

কেন ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট অপরিহার্য, এবং কিভাবে ভিজিটরকে কাস্টমারে রূপান্তর করবেন

  কেন ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট অপরিহার্য, এবং কিভাবে ভিজিটরকে কাস্টমারে রূপান্তর করবেন বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসা মানেই শুধু অফলাইন শোরুম বা ...